সীমান্ত মানুষের প্রেম ও জীবনগাঁথা

বাংলাদেশের জীবননগরের পুটখালি গ্রামে বাড়ি আমার। এ গ্রামটা ভারত বর্ডারের খুব কাছাকাছি। ভারতের ভজনঘাট এলাকার মানুষজন, হাঁটবাজার দেখা যায় আমাদের পুটখালি থেকে। কৃষি শ্রমিকের কাজ করি আমি পুটখালিতে। কিন্তু কদিন থেকে এলাকাতে কোন কাজ পাচ্ছিনা। বলতে গেলে বেকার জীবন কাটাচ্ছি সপ্তাহখানেক থেকে। ঘরে মা-বাবা, ভাই-বোন ৭-জনের সংসার। চাল ডাল তেল নুন সব কিনে খেতে হয় সংসারে। তাই সংসার চালাতে ঘরের ঘটি বাটি বিক্রি শুরু করেছি কদিন থেকে। কি করবো ঠিক বুঝতে পারছি না। শেফালির বাড়িও এই পুটখালিতেই। একদম বর্ডার লাগোয়া ওদের বাড়ি। বলতে গেলে ওর বাড়ি থেকে এক দৌঁড়ে পৌঁছা যায় ভারতের ভজনঘাট গ্রামে। শেফালিও চিন্তিত আমার জন্য। বাবা ওকে বিয়ে দিতে চায় ভ্যানচালক ফয়সাল মিয়ার সাথে। কিন্তু শেফালি মইরা গেলেও বিয়ে করবেনা ফয়সালকে। সে আমার গলায় মালা দিতে প্রতিদিন বর্ডারে ফুল তোলে।
:
আমার সাথে মাঠে কাজ করতো সেই কাল্টু দর্জি বর্ডারে কি কাজে যেন লেগেছে কদিন থেকে। সারাদিন ঘরে ঘুমোয় নাক ডেকে। আর রাতে বর্ডারের এপার ওপার আসা-যাওয়া করে। তাতেই নাকি প্রতিরাতে তার ইনকাম হাজার পাঁচেক টাকা। গতকাল বিকেলে পুটখালি বাজারে দেখা হয়েছিল ওর সাথে। ১০-টাকা দিয়ে ঘন ‘মালাই চা’ খাওয়ালো আমাকে। বেশ কড়কড়া টাকা দেখলাম হাতে ওর। আমাকে অনুরোধ করলো, তার সাথে বর্ডারের কাজে যোগ দিতে। এ কাজে নাকি আয় খুব ভাল। তা ছাড়া নগদ লেনদেন, কোন বাকি নাই। যদিও কিছুটা “রিস্ক” আছে রাতে বর্ডার পার হতে। আর রিস্ক বলেইতো একদিনের ৩০০ টাকার লেবারের দাম এক রাতের বর্ডারে পাঁচ হাজার টাকা!
:
মহাজন কাদের মল্লিকের কাছে এক বিকেলে নিয়ে যায় কাল্টু দর্জি আমাকে। বিশাল কারবার কাদের মল্লিকের। তবে গরুর ব্যবসায়ই প্রধান। ভারত থেকে গরুসহ নানাবিধ জিনিস আনে সে প্রতিদিন প্রতিরাতে। আমার কথা শুনে তিনি হেসে বললেন – “গরু চুরি কইরা আনি না মিয়া, নগদ ট্যাকায় কিনা আনি”। আমি আশ্চর্য হয়ে বললাল – “তাহলে বর্ডারে বিএসএফ বিজিবির সমস্যা কি”? হেসে মল্লিক সাব বলে – “বাংলাদেশের বিজিবির তো সমস্যা নাইরে বাই। সব সমস্যা হইলো মালাউন বিএসেফের। তেল আনো সাবান আনো চিনি আনো কুনু সমস্যা নাই, কেবল গরু দেখলেই ওগো প্যাট কামড়ায়! হালার মালাউন”! চোখ কপালে তুলে বলি – “গরুতে ওগো পেট কামড়ায় ক্যা মহাজন সাব”? আবার বলেন কাদের মল্লিক – “বোজো না? হিন্দু ওরা। গরুরে মা কয়! তাই গোস্ত খাইবার দিতে চায়না। গরু আর কারে কয়”! হাঁ হাঁ করে হাসেন কাদের মল্লিক। এবার মল্লিক সাহেব কাঁধে হাত রাখে আমার। বলে – “চিন্তার কোন কারণ নাই বাপু। এপারে সব কথা বলা আছে আমার। এপারে টু শব্দটি হইবো না। আর ওপারে আছে আমার বেপারী বন্ধু জগদীশ সাহা। তার খাটালের গরুই আনি আমি। উনি লাইন ঘাট করেন বর্ডারে। যখনই মোবাইলে ডাক দেন লোক পাঠাই আমি গরু আনতে। তাই চিন্তার কোন কারণ নাইরে বাই”!
:
বাড়ি ফেরার পথে বন্ধু কাল্টু অভয় দেয় আমাকে। বলে – “আরে দোস্ত! আমিতো গত ১২-দিন ধইরা এ কাম করতাছি। একবার মাত্র তাড়া খাইলাম। কিন্তু গরু ফালাইয়া পলাইয়া আইছি। ধরতে পারেনাই আমারে। তয় ঐ রাতে ট্যাকা দেয় নাই মল্লিক সাব আমারে। কয় ১০ হাজার টেকার গরু ফালাইয়া আইছো, আবার টেকা”? বাড়ি না গিয়ে শেফালিদের বাড়ির দিকে হাঁটা দেই আমি। উঠান লেপছে শেফালি গোবরজল দিয়ে। বাবা গেছে বর্ডারের দোকানে কি কাজে যেন। গলার খাকাড়ি শুনে শেফালি চোখ তুলে চায় আমার দিকে। প্রেমিকার চোখে মুখে সুখমাখা মিষ্টি হাসি হেসে বলে – “কদিন পর আইলা? মনে পললো আমার কথা”? কাজ না থাকার কথা ভেঙে বলি শেফালিকে। ‘তাই মন খারাপ ছিল’ এটা বলার পর কাদের মল্লিকের প্রস্তাব তুলে ধরি শেফালির কানে। বন্ধু কাল্টু দর্জি এ কাজ করে ভাল টাকা আয় করছে তাও জানাই শেফালিকে। মনে করেছিলাম শেফালি এ কাজে বাঁধা দেবে আমাকে। কিন্তু তেমন বাঁধা দিলোনা সে। বরং বললো – “গ্রামের অনেকেইতো এ কাজ করছে। বাবাতো কাজ করে সফিক মাঝির খাটালে। তুমি করলে দোষ কিবা”? চুরি বাটপারিকে খুব একটা দোষের মনে করেনা শেফালি। বরং তার বাবাও এ কাজে সাহায্য করবো বলে আমাকে জানালো শেফালি হেসে হেসে। শেফালি চায় টাকার অভাবে তার বিয়েটা যেন আটকে না থাকে আর। বরং আমি রোজগার করে যেন তাকে তুলে নিতে পারি আমার ঘরে খুব শীঘ্রই নতুন বউ হিসেবে!
:
শেফালির মতামত পেয়ে সন্ধ্যার পরই কাল্টুর সাথে মহাজন মল্লিকের বাড়ি উপস্থিত হলাম সাহসে ভর করে। আমি নতুন বলে বুকে সাহস আনতে নগদ পাঁচ হাজার টাকা মল্লিক সাব অগ্রিম দিলেন আমায়। হাত ধরে বললো – “ভয় পাওয়ার কুনু কারণ নাই মিয়া। তোমরা রাইত ১১-টার দিকে বর্ডার পার হইয়া জগদীশ সাহার বাড়ি যাইবা। বর্ডারের সব ঠিক থাকলে তোমাদের হাতে গরু তুইলা দিবো তেইনে। তোমরা গরু খেদাইয়া খাল পার হইয়া বাংলাদেশে চইলা আইবা। ব্যস, তাতেই ইনকাম নগদ পাঁচ হাজার টেকা”। নিজেদের বাড়ি একটু দূরে আমার। তাই কাছের শেফালির বাড়িতে ঢুকে তার কাছে গচ্ছিত রাখি মহাজনের দেয়া টাকাটা। কারণ সাথে টাকা থাকলে সব রাইখা দেয় নাকি বিএসএফ বিজিবি। একটা ছোট মোবাইল দিয়েছিল মহাজন সাব আমারে পথে কথা বলার জন্যে। শেফালিকে নাম্বারটা দিয়া বলি – “ফিরা না আইলে মাফ কইরা দিও”! বুকে ধুকধুক বুক রেখে অশ্রু ঝড়ায় শেফালি। বলে – “যাও! আল্লাহর নাম নিয়া। ফোনে কথা কমু তোমার লগে রাইতে”!
:
রাত ১১-টার দিকে আমাদের ৫-জনের গ্রুপ অন্ধকারে বর্ডারের দিকে এগুতে থাকি। যে খালে নেমে পাড় হবো আমরা, তার অপর পাড়ে টহলরত ভারতীয় বর্ডারের বিএসএফ গার্ড দেখতে পাই। আমরা জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়ে থাকি অনেকক্ষণ। প্রায় ঘন্টাখানেক পর পশ্চিম দিকে হাঁটতে থাকে ওরা। এই ফাঁকে আমরা পাঁচজনে এক দৌঁড়ে ঢুকে যাই ভারতীয় অংশে। ওপরে উঠে মাইল খানেক হেঁটে পৌছে যাই জগদীশ সাহার বাড়ি। আমাদের খোলা উঠানে বসিয়ে শীত রাতের চা খাওয়ান জগদীশ বাবুর কর্মচারী গণেশ। চা খেয়ে শীতের রাতে অপেক্ষা করতে থাকি আমরা বাংলাদেশ যাত্রার জন্য। জগদীশ বাবু মোবাইলে কথা বলে নানাজনের সাথে। ওপার থেকে মোবাইলে ফোন করে মহাজন কাদের মল্লিক। জানতে চায় কি অবস্থা আমার! বুকে সাহস রাখার পরামর্শ দেয়। রাত দুটোর দিকে ৫-জনে ১০-টি গরু নিয়ে রওয়ানা দেই বর্ডারের দিকে। আমাদের সাথে জগদীশ বাবুর লোক গণেশ আর নিরঞ্জন। তারা খাল পর্যন্ত এগিয়ে দেবে আমাদের। খালের কাছাকাছি আসতেই গণেশ একা এগিয়ে যায় সামনে। আমাদের অপেক্ষা করতে বলে এখানে। মিনিট দশেক পর ফিরে এসে বলে – “আজ পার হওয়া যাবেনা। বর্ডার গরম। চলেন ফিরে যাই বাড়িতে”!
:
আধা ঘন্টার মধ্যে ফিরে আসি আমরা বেপারীর বাড়িতে গরুসহ। জগদীশ বাবু মোবাইলে গালাগালি করে কাকে যেন। সম্ভবত যে দায়িত্ব নিয়েছিল বর্ডার সাফ রাখার তাকে। বাংলাদেশে কাদের মল্লিকের সাথেও কথা বলে মোবাইলে। একটা বড় কক্ষে ১০/১২ জনের জন্য পাতা বিছানায় ঘুমাতে দেয় আমাদের ৫-জনকে। গণেশ হেসে বলে – “তোমাদের আর কোন কাজ নাই। সারাদিন খাবা আর ঘুমাবা। আবার রাতে সব ঠিক থাকলে বর্ডারে যাবো”! সকাল ১০-টার দিকে ডেকে তুলে সবাইকে নাস্তা খাওয়ায় গণেশ। সাবধান করে দেয় আমরা যেন কেউ ঘরের বাইরে না যাই। রুমে লাগানো ছোট সেকেলে সাদাকালো টিভিতে ইন্ডিয়ান বাংলা ছবি দেখে, শেফালিকে মোবাইল করে, আর মাপা ভাত খেয়ে আবার রাত হয়। রাত ১-টার দিকে খবর আসে বর্ডারে যেতে হবে। আবার সজ্জিত করে গরু আনা হয় উঠোনে। আমাদের ৫-জনের হাতে তুলে দেয়া হয় ১০-টি সাদা বড় গরু।
:
কালকের নির্দিষ্ট স্থানে এলে গণেশ আর নিরঞ্জন এগিয়ে যায় সামনে। আমরা গাছের নিচে জঙ্গলের মধ্যে মশাদের গান শুনে অপেক্ষা করতে থাকি। রাত ২-টার দিকে গণেশ আর নিরঞ্জন ইশারা দেয় আমাদের সামনে এগুতে। খালের দুদিকে কাঁটাতারের বেড়া। কেবল খালটি খোলা জলস্রোতের কারণে। খালের উঁচু পাড় ভেঙে গরুসহ নিচে নামি আমরা। কিন্তু নামতে গিয়ে একটা গরু কি কারণে যেন পা মচকে উল্টে যায়। অন্ধকারে জলকাঁদাতে পড়ে একটা গোঁ গোঁ আওয়াজ করে উল্টে পড়া গরুটি। নি:শব্দ গভীর রাতে সে আওয়াজ হয়তো শুনতে পায় অদূরের বিএসএফ জওয়ানরা। উজ্জ্বল টর্চের আলো ফেলে তারা দ্রুত এগিয়ে আসে সামনে কাঁটাতারের বেড়া ঘেষে। ৫-জনে ১০-টি গরু নিয়ে খালে নেমে আবার ওঠার চেষ্টা করতে করতে ওরা এগিয়ে আসে আমাদের খুব কাছাকাছি। হিন্দিতে চিৎকার করে “রুখো” শব্দে থামতে বলে আমাদের। কিন্তু আমাদের থামার কোন নির্দেশনা নেই। যেভাবেই হোক গরু নিয়ে এগুতেই হবে সামনে। আমরা তখন দুই দেশের নোম্যান্ডস ল্যান্ডে। পিচু ধাওয়া করতে করতে খালের জলে নামে বিএসএফ জওয়ানরা। আমাদের সবার পেছনে একটু দূরে থাকা ফরিদ শেখকে গরুসহ ধরে ফেলে ওরা। আমাদেরও থামতে আকাশে ব্লাঙ্ক ফায়ার করে ওরা। কিন্তু বাকি চারজনে এগিয়ে যাই ওদের আদেশ উপেক্ষা করে। আমরা যখন খাল পার হয়ে বাংলাদেশ অংশে ঢুকে পড়েছি প্রায়, তখন আমাদের লক্ষ করে ৪-রাউন্ড গুলি ছোড়ে ভারতীয় বিএসএফ জওয়ানরা।
:
গুলি খেয়ে আমার পেছনের কাল্টু দর্জি পড়ে যায় খালের জলে। বন্ধু হিসেবে তাকে তুলতে গেলে গুলি লাগে আমার ডান পায়ে। এবার খালের পাড়ে নুয়ে থাকা একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকি আমি অন্ধকারে। কানে শুনতে পাই পেছনে ফরিদ শেখের আর্ত চিৎকার। তাকে পেটাচ্ছে ওরা রাইফেলের বাট দিয়ে। আমাদের ৮টি গরু বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে গেছে। কাল্টু দর্জির গরুদুটোও আমার গরু দুটোর কাছেই দাঁড়ানো। চারটে গরু নিয়ে আমাদের সাথের দুজনে নির্বিঘ্নে চলে গেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে। সম্ভবত কাদের মল্লিকের খাটালে পৌঁছেছে তারা এখন। বিএসএফ জওয়ানরা এবার ফিরে যাচ্ছে ফরিদ শেখ আর তার গরু নিয়ে তাদের ঘাটির দিকে। আমার পা দিয়ে রক্ত ঝড়তে অবিরত। গরু চারটে খালের এক কিনারে দাঁড়িয়ে আছে অন্ধকারে। কাল্টু জলের মধ্যে মুখ থুমড়ে পড়ে আছে। সম্ভবত মারা গেছে সে। বন্ধু আমার সে! কিন্তু এখন বন্ধুর লাশ দেখার বা বহনের সময় নয়! এবার কি মনে করে যেন শেফালিকে ফোন দেই আমি। ফিসফিসিয়ে বলি – “তুমি কি খালের পাড়ে বড় তালগাছটার নিচে আসতে পারবা? গুলি লাগিছে আমার পায়ে। তোমার সাহায্য দরকার। তোমার বাবা কই? সে কি ঘরে”?
:
অন্ধকার ভেঙে আধা ঘন্টার মধ্যে শেফালি পৌঁছে যায় তালগাছতলায়! শেফালির কাঁধে ভর দিয়ে বলি – “চলো গরু চাইরটা লইয়া পালাইয়া যাই। এই গরু অন্তত ২-লাখ ট্যাকাতে বিক্রি করবার পারুম আমরা। তারপর তোমারে নিয়া ঘর বাঁধুম সেই ট্যাকাতে”। ভয় পেয়ে শেফালি বলে – “কিন্তু কাদের মল্লিক যদি টের পায়”? “তার আগেই তুমি তোমার বাবাকে নিয়া সফিক মাঝির খাটালে বেইচা দিবা এই গরু। আমি চইলা যামু কাদের মল্লিকের বাড়ি খালি হাতে। তারে গিয়া কমু কাল্টুর মইরা যাওনের কথা”। ঘর বাঁধার স্বপ্নে বিভোর শেফালির খুব পছন্দ হয় আমার কথা। পরিকল্পনা মোতাবেক চার গরু নিয়ে পশ্চিম দিকে নিজ বাড়ির পথে দ্রুত হাঁটতে থাকে শেফালি। আর আমি রক্তঝরা পা নিয়ে খোড়াতে খোড়াতে এগুতে থাকি কাদের মল্লিকের বাড়ির দিকে। খালের জলে তখন ভাসছে বন্ধু কাল্টু দর্জির মৃতদেহ!
:
ভোরের আলো ফোটার আগেই দূরের মাইকে ভোরের আজানের ধ্বনি শুনতে পাই “আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম”! কিন্তু আজান দেয়া এই মুয়াজ্জিন কি জানে, দুদেশের এ কাঁটাতারের সীমান্তে আমাদের রাত কিভাবে কেটেছিল? ভোরের আলো ফোটাতে পাখিরা কিচির মিচির শব্দ করছে। আমি কুয়াশাঘেরা অন্ধকারে একাকি খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটছি কাদের মল্লিকের বাড়ির পথে। গরুর ব্যাপারে তাকে একটা বানানো মিথ্যে গল্প বলতে হবে। আমার পা থেকে অবিরাম টকটকে লাল রক্ত ঝরছে, তার দিকে একদম নজর নেই আমার! ভোরের কুয়াশায় আমার মাথায় এখন কেবল গরু আর শেফালির চিন্তা!

You may also like...