সৌদি আরব কি কোরান হাদিসের নিয়ম কানুন মানবে না?
কোরান হাদিস অনুসারে, কোন মুসলমানকে কোন মুসলিম দেশে ঢুকতে, বসবাস করতে, আয় বা ব্যবসা বাণিজ্য করতে কোন বাঁধা নিষেধ কোরান বা হাদিসের কোথাও বলা নেই। আর ইসলামি দেশ কাফের প্রবর্তিত “আধুনিক রোমান বা বৃটিশ আইনের পাসপোর্ট ভিসায় চলবেনা, চলবে কোরানিক আইনে”। যার বিস্তারিত বলা হয়েছে হাদিসে। তাহলে বাংলাদেশে অবস্থানকারী ১১,০০,০০০-জন রোহিঙ্গা মুসলমান, প্রায় ১০,০০,০০০-জন বিহারী মুসলমান (পাকিস্তানি), পশ্চিম তীরে ২৯,৩৯,০০০-জন ফিলিস্তিনি মুসলমান, গাজায় ১৮,৮০,০০০-জন ফিলিস্তিনি মুসলমান।
সাকুল্যে ৬৯,১৯,০০০ মুসলমান নানাবিধ কারণে বর্তমানে বাস্তুচ্যুত কিংবা রাষ্ট্রহীন কিংবা সমস্যাগ্রস্থ। (যদিও ১৮,৯০,০০০ ফিলিস্তিনি মুসলমান বসবাস করে ইসরাইলে, কোনরূপ সমস্যা ছাড়া, তারা ইসরাইলি পাসপোর্টধারী বিশ্বের “অভিজাত নাগরিক” বলা যেতে পারে)। বর্তমানে সৌদি আরবে মোট ১,০১,৮৫,৯৪৫ জন বিদেশী শ্রমিক নানাপদে কাজ করছে। তো যেই দেশে ১-কোটিরও বেশী লোক বিদেশী শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে এবং ২১,৪৯,৬৯০ বর্গ কিলোমিটারের বিশাল আয়তনের।
সেই দেশে খুব সহজেই উল্লিখিত ৬৯,১৯,০০০-জন সমস্যা আক্রান্ত মুসলমানদের নাগরিকত্ব দিয়ে, মুসলমানদের একটা বিরাট সমস্যা সমাধান করতে পারে। তা ছাড়া সৌদিরা বাংলাদেশি মুসলমানদের ওমরা বা হজ্জে গিয়ে ওখানে অবস্থান, বসবাস ও চাকরি করাকে “অবৈধ” বললেও, ইসলামের দৃষ্টিতে সৌদিদের এ কাজটাই বরং “অবৈধ”। কারণ মুসলিম দেশ হচ্ছে সকল মুসলমানের। ছোট্ট বাংলাদেশে ১৭-কোটি মানুষের ঠাসাঠাসি না হলে, বাংলাদেশেও এইসব বাস্তুচ্যুত মুসলমানরা বসবাস করতে পারতো।
এ ব্যাপারে আমাদের দেশের বিশাল বিশাল ইসলামি স্কলার, মুফতি, শাইখ, মাওলানা, ওয়াজেরিন, কাঠমোল্লা, টুক্কা মালানা সবাই নিরব দর্শক মাত্র। আসলে জামাত, হেফাজতের তো আন্দোলন করা উচিত এই ইস্যুতে যে, মক্কা মদিনার দেশ সৌদি আরবে (যা মূলত বিশ্বের সকল মুসলমানের দেশ) এই ৬৯,১৯,০০০-জন সমস্যা আক্রান্ত মুসলমানদের স্থায়ীভাবে থাকতে দিতে হবে। যাতে এ সমস্যার সুন্দর সমাধান হয়। কিন্তু তার ধারে কাছেও তারা না গিয়ে “মানবিক বিবাহ” নিয়ে এদের অনেকেই বিভিন্ন রিসোর্টে ও বিভিন্ন আবাসিক মাদ্রাসায় শিশুদের “বলাৎকারে” ব্যস্ত থাকাতে, ৬৯,১৯,০০০ সমস্যা আক্রান্ত মুসলমানের সমস্যা সম্ভবত কখনোই শেষ হবেনা। “জাযাকাল্লাহু খাইরান”!
সাম্প্রতিক মন্তব্য